পাকিস্তান: ২৫২/৭ (৪২ ওভার)
শ্রীলঙ্কা: ২৫২/৮ (৪২ ওভার)
এশিয়া কাপের ফাইনালে হচ্ছে না ভারত বনাম পাকিস্তান। কলম্বোয় শেষ বলের টানটান থ্রিলার জিতে ফাইনালে ভারতের মোকাবিলা করতে নামবে শ্রীলঙ্কা। চলতি এশিয়া কাপের সেরা ম্যাচ উপহার দিয়ে গেল বৃহস্পতিবার। যা গড়াল শুক্রবার পর্যন্ত। সেই ম্যাচেই পাকিস্তানের ২৫২ রানের টার্গেট চেজ করল শ্রীলঙ্কা একদম শেষ বলে।
ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের দুর্ধর্ষ দাপটে একসময় লড়াই কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষদিকে পরপর উইকেট হারিয়ে চরম উত্তেজনা আমদানি করে যান লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। শেষ ওভারে জামান খানের দায়িত্ব ছিল ৮ রান ডিফেন্ড করার। ক্রিজে টিকে যাওয়া চরিত আশালঙ্কা ম্যাচ ফিনিশ করে দেন।
জামান খানের শেষ ওভারে প্ৰথম চার বলে মাত্র দু রান তুলতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ রান। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেই টার্গেট নেমে আসে মাত্র ২ রানে। ক্লোজ ইন ফিল্ডারদের এড়িয়ে আশালঙ্কা ডিপ স্কোয়ার লেগে বল ঠেলে দু-রান নিতেই নিশ্চিত হয়ে যায় রবিবারের ফাইনালের লাইন আপ।
ওভার পিছু ছয়ের বেশি রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা দুরন্ত হয়েছিল। মাত্র চতুর্থ ওভারে কুশল পেরেরা রান আউট হয়ে গেলেও রান চেজের রিংটোন সেট করে যান তিনি। এর পর পাথুম নিশঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস মিলে স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ করে যান। নিশঙ্কা আউট হয়ে যাওয়ার পর সমরাবিক্রমার (৫১ বলে ৪৮) সঙ্গে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েন কুশল মেন্ডিস।
কুশল মেন্ডিস শতরানের ঠিক ৯ রান আগে আউট হয়ে গেলেও ম্যাচ সেই সময় পুরোপুরি শ্রীলঙ্কার দখলেই ছিল। ২১০/৩ থেকে একসময় টানা উইকেট হারিয়ে ২৪৬/৮ হয়ে গিয়েছিল। শাহিন আফ্রিদি হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায়ও দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে ক্রিজে টিকে যাওয়া আশালঙ্কা অবশ্য লঙ্কানদের হতাশ করেননি।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে পাকিস্তান ৪২ ওভারে ২৫২ তুলেছিল। একসময় শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানকে কার্যত টুঁটি চিপে ধরেছিল। শ্রীলঙ্কান স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ১৩০/৫ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান।
সেখান থেকেই ইফতিকার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে পাক ব্যাটিংয়ের উদ্ধারকাজ চালিয়ে যান মহম্মদ রিজওয়ান। ইফতিকার-রিজওয়ান জুটি ১০৮ রান যোগ করে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছে দেন। পাক ইনিংসের একদম শেষ দিকে হাফসেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে আউট হন ইফতিকার। অন্যপ্রান্তে রিজওয়ান ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলঙ্কান বোলাররা যেভাবে শুরু করেছিলেন, মনে হয়েছিল ব্যাটিং বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। তবে মহম্মদ নওয়াজের উইকেটের পরেই বৃষ্টির বিরতি নিতে হয়।
সেই বিরতির পরেই লঙ্কান বোলাররা খেই হারিয়ে ফেলে। এতেই ম্যাচে পাকিস্তান ফেরে রিজওয়ান-ইফতিকারের ব্যাটে ভর করে। বৃষ্টিই শেষ পর্যন্ত প্ৰথম ইনিংসে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
2023-09-14T19:56:06Z dg43tfdfdgfd