দীর্ঘ ৬ বছর পর ফের পি সেন ট্রফি ফিরছে, শুরু হবে ১৮ জুন থেকে

ফের ইডেনে ফিরছে পি সেন ট্রফি। তাও দীর্ঘ ছ'বছরের অপেক্ষা শেষে। আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, সিএবি নতুন করে উদ্যোগ নিয়ে ফেরাচ্ছে পি সেন ট্রফি। আর বুধবার সরকারি ভাবে সেই খবরেই শিলমোহর পড়ল। প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ মরশুমে সূচি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এর পর কোভিডের জন্য পরবর্তীতে বন্ধই ছিল পি সেন ট্রফি। বহু বছর পর এই ট্রফি ফেরায় উচ্ছ্বসিত বাংলার ক্রিকেট মহল।

আগামী ১৮ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে এই টুর্নামেন্ট। এ কথা বুধবার জানিয়ে দেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। এ বারের পি সেন ট্রফি হবে ১০ দলের। নক আউট ফর্ম্যাটেই হবে এই টুর্নামেন্টে।

একটা সময় কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর থেকে শুরু করে বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মত তারকাও এই পি সেন ট্রফিতে অংশ নিয়েছিলেন। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে সেই পুরনো ঐতিহ্য ফের ফিরিয়ে আনতে মরিয়া সিএবি। বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রয়াত প্রবীর সেনের স্মৃতিতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়।

প্রবীর সেন ছিলেন উইকেটরক্ষক। ভারতের হয়ে ১৪টি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে খেলেছিলেন। ১৪টি ম্যাচে তিনি মোট ১৬৫ রান করেছিলেন। তিনিই ভারতের একমাত্র উইকেটরক্ষক যিনি ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানকে স্টাম্পড করেছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলার অভিষেক হয়েছিল প্রবীরের।

সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টের একটা ইতিহাস রয়েছে। একটা ঐতিহ্য রয়েছে। অতীতে অনেক বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্ট খেলে গিয়েছিলেন। তাই এই টুর্নামেন্ট শুরু করাটা ভীষণ দরকার ছিল। ইডেনে দিন রাতের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।’

অতীতের মন্থর গতির পিচ এখন অতীত। চলতি মরসুমে ইডেনের বেশির ভাগ ম্যাচেই ব্যাটাররা সুবিধা পেয়েছেন। ব্যাটিং সহায়ক পিচে প্রচুর রানও উঠেছে। এ বার আইপিএলে ইডেনে সেরা মাঠ ও পিচের পুরস্কারও জিতেছে।

তবে ইডেনের পাশাপাশি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েকেও যুগ্ম ভাবে সেরা মাঠ ও পিচের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। উভয় মাঠের মধ্য়েই ৫০ লক্ষ টাকার পুরস্কারমূল্য ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে এই ইডেনের পিচ যতই সেরার পুরস্কার পাক না কেন, এই পিচ নিয়েই কিন্তু একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রান।

নাইট অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘কেকেআর ছাড়া মনে হয়, টুর্নামেন্টের বাকি সব দল ঘরের মাঠের সুবিধা পায়। ওখানে যখন আমরা ব্যাটিং উইকেটে খেলি, তখন হেসে খেলে প্রতিটি ম্যাচেই ২০০-র বেশি রান করি। আবার মন্থর পিচে খেলা হলে রান তুলতে বেশ কষ্ট হয়। পিচের এই চরিত্র বদলের ফলে ব্যাটারদের বার বার নিজেদের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও অসুবিধা হয়। বাকি দলগুলোকে এই সমস্যায় পড়তে হয় না।’

2023-06-07T18:33:43Z dg43tfdfdgfd